
আজকের বাংলাদেশ এবং বঙ্গবন্ধু
'হিমালয় থেকে সুন্দরবন, হঠাৎ বাংলাদেশ/ কেঁপে কেঁপে ওঠে পদ্মার উচ্ছ্বাসে/ সে কোলাহলের রুদ্ধস্বরের আমি পাই উদ্দেশ/ জলে ও মাটিতে ভাঙনের বেগ আসে। হঠাৎ নিরীহ মাটিতে কখন/ জন্ম নিয়েছে সচেতনতার ধান/ গত আকালের মৃত্যুকে মুছে/ আবার এসেছে বাংলাদেশের প্রাণ।' হ্যাঁ, গতআরো পড়ুন

স্বাধীনতার পর স্বদেশ নির্মাণ
স্বাধীনতার পর, ১৯৭২ সালের ১২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শাসনভার গ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এরপর দেশ পুনর্গঠনে মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়েছিলেন তিনি। তার এই স্বদেশ নির্মাণের কর্মযজ্ঞ নিচে সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো:ক. সংবিধান প্রণয়ন : বঙ্গবন্ধু উপলব্ধিআরো পড়ুন

প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা (১৯৭৩-১৯৭৮)
১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর বঙ্গবন্ধু তার সহকর্মীদের নিয়ে বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রবর্তনের প্রয়াস নেন। এজন্য গঠন করা হয় একটি পরিকল্পনা কমিশন। বঙ্গবন্ধুর ছয় দফার ধ্যানধারণা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরবর্তীতে স্বাধীন বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাজকর্ম শুরু হয়। কৃষি, শিল্প, ভূমিআরো পড়ুন

অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রাম
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু যে মহাকাব্যিক ভাষণ দিয়েছিলেন, তার মূল কথা ছিল মুক্তি। এই মুক্তি শব্দটির ব্যঞ্জনা ছিল বহুমাত্রিক। রাজনৈতিক স্বাধীনতা ছাড়াও সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেছিল এই শব্দে। আজ আমরা বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক দর্শন বলতে গণমানুষেরআরো পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা দর্শন
শিক্ষা নিয়ে বঙ্গবন্ধুর দর্শন আসলে কেমন ছিল? সদ্য স্বাদীন বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে উনি কীভাবে গড়তে চেয়েছিলেন? আর আমরা আজ কোথায় আছি? বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর এই মহালগ্নই হতে পারে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার একটি মোক্ষম সময়। তাই বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাচিন্তার ওপরআরো পড়ুন

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি
একটি দেশের পররাষ্ট্রনীতির প্রণয়ন ও তার বাস্তবায়ন নির্ভর করে দেশটির নেতৃত্বের রাজনৈতিক দর্শন ও বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে ওই দেশের সম্পর্কের সমীকরণের ওপর। পররাষ্ট্রনীতির সফলতার জন্য শুধু শক্তিশালী পররাষ্ট্রনীতি প্রণয়ন করলেই হয়বে না, পররাষ্ট্রনীতির সফল বাস্তবায়নের জন্য শক্তিশালী নেতৃত্ব থাকতেআরো পড়ুন

নারী উন্নয়ন নীতি
বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে ’৭১-এর স্বাধীনতা যুদ্ধে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে অংশগ্রহণ করেছিল। নারী অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছে, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা-শুশ্রুষা করেছে, মুক্তিযোদ্ধাদের তথ্য সরবরাহ করে সহযোগিতা করেছে, স্বামী-সন্তানকে যুদ্ধে পাঠিয়েছে এবং লাখ লাখ মা-বোন নির্যাতনের শিকার হয়ে বিজয়ে অবদান রেখেছেন। বঙ্গবন্ধুর শৈশব থেকেইআরো পড়ুন

বাংলা ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাবনা
বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্বব্যাপী একজন মুক্তিসংগ্রামী এবং মহান রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত। তিনি রাজনীতির মানুষ, রাজনীতিই তার জীবনের ধ্যান-জ্ঞান। তিনিই বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ জাতীয়তাবাদী নেতা। রাজনৈতিক সত্তাই বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে বড় পরিচয়। তবে শুধু রাজনৈতিকআরো পড়ুন

খেলার মাঠে শেখ মুজিব
১৯২০ সালের ১৭ মার্চ, গোপালগঞ্জের অজপাড়াগাঁ টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ছোট বেলা থেকেই তিনি ছিলেন ক্রীড়াপ্রেমী। দেশ স্বাধীনের পর তাই ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়নে নিয়েছিলেন যুগোপোযুগী পরিকল্পনা। তার সময়োচিত সিদ্ধান্তগুলোই আজ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সাফল্যের শিখরে। ক্রীড়ার প্রতিআরো পড়ুন

যে উদ্দেশ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন বঙ্গবন্ধু
মুক্তিযুদ্ধকালে শান্তি, কল্যাণ ও মানবতার ধর্ম ইসলামের অপব্যাখ্যা করে পাকিস্তানি স্বৈরশাসকগোষ্ঠী, হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসর-দালালেরা মুক্তিযুদ্ধকে ইসলামবিরোধী এবং মুক্তিযোদ্ধাদের অমুসলিম আখ্যা দেয়। তারা স্বাধীনতাকামী নিরস্ত্র মানুষদের নির্বিচারে হত্যা করে, চালায় নারী নির্যাতন। অসংখ্য ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়; আর তথাকথিতআরো পড়ুন

১৯৭২ থেকে ১৯৭৫: বঙ্গবন্ধুর সরকার পরিচালনা
১৯৭১ সালের মার্চের শুরুতেই অসহযোগ আন্দোলনের জন্য দেশবাসীর উদ্দেশে বঙ্গবন্ধু যেসব নির্দেশনা দিয়েছিলেন, তার মাধ্যমেই একটি স্বতন্ত্র স্বাধীন রাষ্ট্রের পত্তন হয়। বাংলাদেশ নাম রাষ্ট্রের নামে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে এই এদেশের আকাশ-বাতাস। ভেঙে পড়ে পাকিস্তানি শাসন ব্যবস্থা। শেখ মুজিবুরআরো পড়ুন

দুঃখী মানুষের নেতা
বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাসে শেখ মুজিবুর রহমানই একমাত্র নেতা, যিনি একটি স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছেন। আর সেই রাষ্ট্রটি হলো আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। পাকিস্তানের শোষণ থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের দিকে এই স্বপ্নের যাত্রা অতো সহজ ছিল না। বুলেট-বোমা উপেক্ষা করেআরো পড়ুন

দুর্যোগে দুর্বিপাকে সর্বদা মানুষের পাশে
১৯৭০ সালের নির্বাচন বাঙালি জাতির ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এই নির্বাচনে হার-জিতের ওপর অনেকাংশেই নির্ভর করছিল সাত কোটি বাঙালির ভাগ্য। দুই যুগের মতো সময় ধরে বঙ্গবন্ধু যেভাবে পুরো জাতিকে একাট্টা করেছিলেন স্বাধীনতার জন্য, তার ফলাফল দেখার মহেন্দ্রক্ষণ ছিল এটি। নৌকাআরো পড়ুন

জনকল্যাণমুখী রাজনীতি
বঙ্গবন্ধু বরাবরই গরিব-দুঃখী মানুষের পক্ষে সোচ্চার ছিলেন। কীভাবে সাধারণ মানুষের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন করা যায় সেটাই ছিল তার রাজনৈতিক চিন্তাজুড়ে। বঙ্গবন্ধুর জনকল্যাণমূলক রাজনীতির পরিপ্রেক্ষিতেই আজকের বাংলাদেশের জন্ম। পূর্ব-বাংলার কথা উঠলেই তিনি দরিদ্র কৃষক, নিম্নপদস্থ কর্মচারী, শিক্ষার সুযোগবঞ্চিত ছাত্র ওআরো পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর সরকার পরিচালনা
বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই হাজার বছরের শোষণ ও দাসত্ব থেকে মুক্তির পায় বাঙালি জাতি, স্বাধীন হয় বাংলাদেশ। দেশ স্বাধীনের পর মাত্র সাড়ে তিন বছর দেশ শাসনের সময় পান বঙ্গবন্ধু। এই স্বল্প সময়েই শত বছর সামনে পথ চলার ভিত্তি স্থাপন করেন তিনি।আরো পড়ুন

সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী, এখনো আক্রমণ থামেনি
২৫ জানুয়ারি, ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন, কিন্তু দিনটি কেনো অর্থবহ তা আজ অনেকেই স্মরণ করতে পারে না এবং যাদের স্মৃতিতে আছে তারাও ইচ্ছাকৃতভাবে স্মরণ করার চেষ্টা করে না। ব্যাপারটা এমন, যেনো বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে দিনটি বেমালুম হাওয়া হয়ে গেছে। আসুনআরো পড়ুন

সংবিধানঃ ১৯৭২-চার মূলনীতিতে প্রত্যাবর্তন
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় রাষ্ট্র পরিচালনার চার মূলনীতি হলো- জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা। দীর্ঘ তিন যুগ এই চার নীতি আবার পর সংবিধানে ফিরেছে ২০১১ সালের ৩০ জুন। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধন আইন, ২০১১-এ বাহাত্তরের সংবিধানের এই সংক্রান্ত অনুচ্ছেদটি ফিরিয়ে আনা হয়। একইসঙ্গেআরো পড়ুন

দেশ পুনর্গঠনে বঙ্গবন্ধু সরকারের পদক্ষেপ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিছক কয়েকটি সরকারি প্রকল্প বা সিদ্ধান্তের নিক্তিতে মাপতে যাওয়া সমীচীন নয়। রাজনীতিবিদ এবং ব্যক্তি হিসেবে বঙ্গবন্ধুর মহানুভবতা, আদর্শিক সংগ্রাম, কষ্ট স্বীকার ও আত্মত্যাগ বিশ্ব ইতিহাসে বিরল। একটি পরাধীন জাতির স্বাধীনতা অর্জনে তিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন,আরো পড়ুন

স্বাধীনতার তিন মাসের মধ্যে বাংলাদেশ ছাড়ে ভারতীয় সেনারা
১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১; স্বাধীনতা লাভ করে বাংলাদেশ। এরপরও বাঙালি জাতি বিজয়ের উৎসবে মেতে উঠতে পারছিল না। স্বাধীন রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে তখনো পাকিস্তানের জেলে বন্দি। অবশেষে এলো সেই মহেন্দ্রক্ষণ। ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তআরো পড়ুন

স্বাধীনতার আগেই সমান্তরাল সরকার পরিচালনা
মার্চ মাস মানেই বসন্তকাল, ফাল্গুন ও চৈত্রের সমাহার। উড়ু উড়ু বাতাস, কোকিলের ডাকে আনমনা হয়ে থাকে মন। কিন্তু ১৯৭১ সালের মার্চ ছিল ব্যতিক্রম। সেবারের বাতাস ছিল ভারী, কৃষ্ণচূড়ায় ছিল না কোকিলের কুহু তান। প্রতিটি রাজপথে বাঙালির তাজা রক্তে ফুটেছে শিমুল-পলাশ।আরো পড়ুন